পেটেন্টপ্রাপ্ত স্ট্রিমার ডিসচার্জ প্রযুক্তি

Streamer

ডাইকিনের স্ট্রিমার ডিসচার্জ প্রযুক্তি কী?

"স্ট্রিমার ডিসচার্জ" হল একধরনের প্লাজমা ডিসচার্জ যা অক্সিডেটিভ পচন করতে পারে এমন হাই-স্পিড ইলেকট্রন তৈরি করে. এটি ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাকের সাথে সাথে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ও অ্যালার্জেন প্রভৃতি দূর করে. যেকোনও স্ট্যান্ডার্ড প্লাজমা ডিসচার্জ (গ্লো ডিসচার্জ)-এর থেকে ডাইকিনের স্ট্রিমার ডিসচার্জ প্রশস্ত, যার ফলে ইলেকট্রনগুলি সহজেই বাতাসের অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনের সাথে ধাক্কা খায়. এতে একটি প্রশস্ত জায়গায় হাই-স্পিড ইলেকট্রনগুলি তিন মাত্রিকভাবে তৈরি হয় যার ফলে, সেই একই পরিমান বিদ্যুৎ শক্তি খরচ করেই 1000 গুনেরও বেশি গতিতে অক্সিডেটিভ পচন করতে পারে. ডাইকিনের স্ট্রিমার ডিসচার্জ প্রযুক্তি স্থায়ীভাবে হাই-স্পিড ইলেকট্রন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, যা এর আগে খুবই কঠিন বলে বিবেচিত হত.

স্ট্রিমার ডিসচার্জ প্রযুক্তির পচন প্রক্রিয়া কীভাবে কাজ করে?

যদি এটি তাপীয় শক্তি হয় তাহলে পচন শক্তি প্রায় 100,000℃1,-এর উত্তাপের সাথে তুলনীয় হবে.

*1অক্সিডেশন পচনের তুলনা. এর মানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এমন নয়.

  • Mechanism
  • Mechanism
    বিশাল আকারে স্ট্রিমার ডিসচার্জ ভাইরাস ধ্বংস করে.
  • Mechanism
    স্ট্রিমার ডিসচার্জ অক্সিডেশনের মাধ্যমে সারফেস প্রোটিন পচিয়ে দেয় ও ভাইরাস ধ্বংস করে.
  • Mechanism
    অক্সিডেটিভ পচনের মধ্য দিয়ে প্রোটিন নষ্ট হয়ে গেলে টুকরো টুকরো হয়ে যায় এবং স্ট্রিমার ডিসচার্জ নিরাপদ নাইট্রোজেন পরমাণু, অক্সিজেন পরমাণু ও জলের অনু হয়ে ফিরে আসে.
  • Mechanism
    সারফেস প্রোটিন (HA এবং NA) অক্সিডেটিভ পচনের ফলে ধ্বংস হয়ে যায়.
 

ডাইকিনের স্ট্রিমার ডিসচার্জ প্রযুক্তি ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে

প্রমাণিত হয়েছে যে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া নিষ্ক্রিয় হয়েছে

  • ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (ধরন A, H1N1)
  • অত্যন্ত ভাইরাসযুক্ত এভিয়ান (ধরন A, H5N1)
  • ব্যাসিলাস কলি, O-157
  • নরোভাইরাস
  • স্টাফিলোকক্কাস অরিয়াস
  • সিউডোমোনাস অ্যারুগিনোসা
  • টিউবারকুলোসিস ব্যাকটেরিয়া
  • টক্সিন (এন্টেরোট্যাক্সিনস)

প্রমাণিত হয়েছে যে অ্যালার্জেন নষ্ট হয়ে গেছে

  • ছত্রাক অ্যালার্জেন: কাঁচা ছাঁচ, অ্যাস্পারগিলাস, ইউরোটিয়াম, অ্যাস্পারগিলাস নাইজার, ফুসারিয়াম, পেনিসিলিয়াম
  • পরাগভিত্তিক অ্যালার্জেন: সিডার পরাগ, আলেডার পরাগ, বার্চ পরাগ, জাপানি সাইপ্রাস পরাগ, পেন্সিল সিডার পরাগ,বল্ড সাইপ্রেস পরাগ, মগওয়ার্ট পরাগ, আর্চার্ড গ্রাস পরাগ, টিমোথি গ্রাস পরাগ, গ্লিওয়ার্ট পরাগ, জাপানী বিচ.
  • প্রাণীদের থেকে অ্যালার্জেন: ঘরের ধূলিকণা (ডার্মাটোফোগয়েডস টেরোনিসিনাস) (ঝরা এবং মৃত মাইট), ঘরের ধূলিকণা (ডার্মাটোফোগাইডস ফোরিনা) (মল এবং মরা মাইট), আমেরিকান আরশোলা (মল), জার্মান আরশোলা (মল), মাছি (মল), কুকুরের ত্বক (খুশকি), বিড়ালের ত্বক (খুশকি), ইঁদুরের ত্বক (খুশকি).
  • অন্য: আটা
 
Virus
 

একটি পরিষ্কারের প্রযুক্তি যা জাপান এবং বিদেশের সরকারী সংস্থা দ্বারা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত.

স্ট্রিমার প্রযুক্তির কার্যকারিতা পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত.

*নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলি ডাইকিন ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের অনুরোধে তৃতীয় পক্ষ সম্পন্ন করেছে.

institution

প্রমাণিত হয়েছে যে স্ট্রিমার প্রযুক্তি দিয়ে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দূর হয়ে গেছে.

  • ফরমালডিহাইড
  • ডিজেল এক্সস্ট পার্টিকুলেটস (DEP)
  • নিষ্কাশিত গ্যাসের মধ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ: NOx, টেট্রাক্লোরিথিলিন, বেনজিন, ট্রাইক্লোরিথিলিন, ডিক্লোরিওথেন, ডিক্লোরোমেথেন, ক্লোরোফর্ম
  • VOC ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ: আইসো-বুটানল, হেক্সেন, স্টেরিন, ন্যানানোয়িক এসিড, ট্রাইমেথল বেনজিন, জাইলিন, নেফথালিন, ইথাইল বেনজিন, টলিউইন, ইথাইল অ্যাসিটেট

এই প্রোডাক্টটি বাতাসে ঘুরে বেড়ানো ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, অ্যালার্জেন, ছত্রাক, ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদি দূর করে বাতাস শুদ্ধ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে. তাছাড়া, এই প্রোডাক্টটি জীবাণুমুক্ত পরিবেশ গঠন করতে বা প্যাথোজেনজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য বানানো নয়.

এই বর্ণনাটি ডাইকিনের স্ট্রিমার প্রযুক্তি উপর ভিত্তি করে লেখা, এয়ার পিউরিফায়ারের উপর নয়. স্ট্রিমার প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর ভিত্তি পরীক্ষার ফলাফল ডাইকিনের নির্ধারিত পরীক্ষা পদ্ধতি অনুসারে দেওয়া হয়েছে. এয়ার পিউরিফায়ারের মধ্যেই স্ট্রিমার প্রযুক্তি থাকলেও, এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহারের সময় আলাদা ফল পাওয়া যেতে পারে. আসল ফলাফল প্রোডাক্ট ইনস্টলেশন এবং আসল প্রোডাক্টের ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে আলাদা হতে পারে.

এই প্রোডাক্টটি কোনও মেডিক্যাল ডিভাইস, মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট ডিভাইস বা থেরাপিউটিক যন্ত্র নয়. এই প্রোডাক্টটি কোনও থেরাপিউটিক ব্যবহারের জন্য বা রোগ নির্ণায়ক যন্ত্র হিসেবে, অসুখ সরানোর বা নিরাময়ের জন্য উপযোগী নয়. কোনও রোগ থাকলে বা অসুস্থতা বোধ করলে অনুগ্রহ করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন.